অনলাইন ডেস্ক | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১:৩২ পূর্বাহ্ণ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়াতে হাতুড়িপেটায় আহত মো. সাজিদুল ইসলাম মীমের (২২) মৃত্যু হয়েছে।
আট দিন কোমায় থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে কোমায় থেকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে মামলা করার সাত দিন অতিবাহিত হলেও কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মীমের মৃত্যু বিষয়টি তার বাবা মো. আবদুস সাত্তার নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হোসেন্দী ইউনিয়ন শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইসমানির চরের সংগ্রাম মোল্লা (২৪), মোঃ আতাউর (২৭), মোঃ সম্রাট (২২), মোঃ তুষায় (২০), মোঃ ছাব্বির (২২), মোঃ নিজুম (২২), মোঃ অপু (২১) এবং কলসের কান্দির মো. আরজু (২০), মো. শুভ (২০), ১০-১২ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মিলে তার ছেলে সাজেদুল ইসলাম মীমকে হাতুড়ি, ডাসা, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হাত, পা ও মাথা থেঁতলে দিয়েছে। আট দিন ধরে মীম ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে কোমায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ছেলে মো. সাজিদুল ইসলাম মীম (২২) গত ১০ সেপ্টেম্বর বনভোজনে যাওয়ার জন্য হোসেন্দী ইউনিয়ন শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সংগ্রামের কাছ থেকে ঋণ করে ৪০০ টাকা জমা দেয়। এর জের ধরে ১৫ সেপ্টেম্বর নাজিরচর হতে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ইসমানিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন অ্যাডভান্স প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সামনে পাকা রাস্তায় গেলে লোহার হাতুড়ি, কাঠের ডাসা, বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পথরোধ করে গালাগাল করে তারা।
প্রতিবাদ করলেই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মাঠে নিয়ে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারা হয় তাকে। লোহার হাতুড়ি দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে দুই হাতের কনুই, দুই পায়ের হাঁটুর হাড় ভেঙে ফেলে জখম করে। মীমের কাছে থাকা ১০০০ টাকাও ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে কাঠের ডাসা, বাঁশের লাঠি দিয়ে বাকিরা পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলে দেয়।
মীমের আত্মচিৎকারে স্থানীয় মো. ইমু (২৫) ও মো. রাজিব (২২) সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। আহতাবস্থায় মীমকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করেন। এ ঘটনায় প্যানাল কোডে মামলা করা হয়েছে- নং ১৫ ১৭/০৯/২০২১); ধারাঃ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬।
জানা যায়, ইসমানির চরের আলমকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি সাজেদুল ইসলাম মীম। বিভিন্ন সময় সাজেদুল ইসলাম মীম এর বিরুদ্ধে আলী হোসেন মেম্বার, সংগ্রাম ও আতাউরের বিভিন্ন গোপন বিষয় পুলিশ বা চেয়ারম্যান গ্রুপের কাছে তথ্য ফাঁস করে দেয়, এমন তথ্যের ভিত্তিতে মীমকে মারধর করে ১০/১২ জনের ছাত্রলীগখ্যাত কিশোর গ্যাং গ্রুপ।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় জড়িতরা সবাই পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১:৩২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
24news.com.bd | News Desk