অনলাইন ডেস্ক | ২৪ অক্টোবর ২০২০ | ১:১৩ অপরাহ্ণ
নোয়াখালীর চাটখিলে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে (২৯) ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নোয়াখলা এলাকার অপর এক গৃহবধূ (২৭) চাটখিল থানায় হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন।
মজিবুর রহমান শরীফ উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ওয়াতির বাড়ির রফিকুল ইসলাম খোকনের ছেলে এবং নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
চাটখিল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, শুক্রবার রাতে চাটখিলের নোয়াখলার এক গৃহবধূ থানায় হাজির হন। এরপর তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে ওই গৃহবধূ এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে পাশের বাড়ির মজিবর রহমান শরীফ তাকে টেনে তুলে ধর্ষণ করে তার উলঙ্গ ছবি মোবাইলে ধারণ করে। যাওয়ার সময় বলে যায়- কাউকে কিছু বললে তার ছবি ভাইরাল করবে এবং তার দুই সন্তানকে গুলি করে হত্যা করবে।
তাই ওই গৃহবধূ তার সংসার ও সন্তানদের জীবন রক্ষার জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে গুমরে গুমরে কেঁদেছেন। মজিবুর রহমান শরীফ গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি সাহস পান এবং মামলা করেন।
ওসি আনোয়ারুল হক জানান, শুক্রবার রাতেই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। যেহেতু মামলার একমাত্র আসামি মজিবুর রহমান শরীফ আগেই ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ডে রয়েছেন, তাই আগামী রোববার (২৫ অক্টোবর) তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে গত বুধবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে নোয়াখলা ইউনিয়নের এক গৃহবধূকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে শরীফ। পরে ওই গৃহবধূর বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও ধারণ করে চলে যায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর করা মামলায় ওইদিনই শরীফকে গ্রেফতার করে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার কাছে অস্ত্র আছে বলে স্বীকার করলে রাতে তাকে নিয়ে তার বাড়ি ও অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযানে শরীফের বসতঘর থেকে একটি ইতালিয়ান পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি মোবাইল, অফিস থেকে একটি বিয়ারের খালি ক্যান, এক বক্স কনডম, তিনটি মোবাইল ও গ্রিল ওয়ার্কসপ থেকে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আরেকটি মামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে শরীফকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট্র মোহাম্মদ সাঈদীন নাহী ধর্ষণ মামলায় তিনদিন এবং অস্ত্র মামলায় একদিনসহ মোট চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১:১৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
24news.com.bd | News Desk